শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ, ১৪৩১
অনলাইন ডেস্ক।।
বুড়িগঙ্গায় লঞ্চডুবির ঘটনায় সোমবার (২৯ জুন) রাতে নৌ পুলিশের পক্ষ থেকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা হয়েছে। এতে আসামি করা হয়েছে ‘ময়ূর-২’ লঞ্চের মালিকসহ ৬ জনকে।
নৌ পুলিশ জানায়, ‘ময়ূর-২’ লঞ্চের মালিক মোফাজ্জল হামিদ ছোয়াদের বাড়ি মুন্সিগঞ্জে। তবে তিনি ঢাকায় থাকেন। তিনি ছাড়াও মামলার অন্য আসামিরা হলেন, মাস্টার আবুল বাশার, জাকির হোসেন, ড্রাইভার শিপন হাওলাদার, মাস্টার শাকিল ও সুকানি নাসির। এজাহারভুক্ত ছয়জন ছাড়াও অজ্ঞাত কয়েকজন আসামির তালিকায় রয়েছেন। বেপরোয়া লঞ্চ চালিয়ে মানুষ হত্যা ও ধাক্কা দিয়ে লঞ্চ দুর্ঘটনার জন্য দণ্ডবিধির ২৮০, ৩০৪ (ক), ৪৩৭ ও ৩৪ ধারায় মামলাটি হয়।
নৌ পুলিশের ঢাকা অঞ্চলের পুলিশ সুপার খোন্দকার ফরিদুল ইসলাম জানান, ময়ূর-২ লঞ্চের মালিক ও চালকসহ অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। মামলায় ৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
তিনি জানান, বিআইডব্লিউটিএ বিশেষ পদ্ধতিতে ডুবে যাওয়া ‘মর্নিং বার্ড’ লঞ্চটি তোলার চেষ্টা চালাচ্ছে। উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয় আসতে না পারায় আরেকটি ছোট জাহাজ এসে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে। ট্রাকের খালি টায়ার ডুবে যাওয়া লঞ্চে ভেতরে ঢুকিয়ে তার মধ্যে বাতাস দেয়া হচ্ছে। অনেক টায়ারে বাতাস দেয়া গেলে লঞ্চটি ভেসে উঠবে।
ডুবুরিদের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি জানান, ডুবে যাওয়া লঞ্চের ভেতরে আর কোনো মৃতদেহ নেই।
এর আগে সোমবার সকাল পৌনে ৮টায় অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে মুন্সিগঞ্জ থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসে মর্নিং বার্ড লঞ্চটি। সদরঘাটে ভেড়ানোর আগ মুহূর্তে চাঁদপুরগামী ময়ূর-২ লঞ্চটি ধাক্কা দিলে সেটি ডুবে যায়। এ সময় লঞ্চে থাকা কয়েকজন যাত্রী সাঁতরে উঠতে পারলেও এ পর্যন্ত ৩২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।